শোবিজ দুনিয়ায় তারকা হওয়া সহজ নয়, এবং টিকে থাকা তার চেয়েও কঠিন। অভিনেত্রী নিদ্রা দে নেহা তার পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে এই তিক্ত অভিজ্ঞতা বারবার পেয়েছেন বলেই মনে করছেন। ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০’-এর সেরা দশে স্থান পাওয়ার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিভাবান তরুণী নাটক, বিজ্ঞাপন ও ওয়েব সিরিজে কাজ করে নিজের একটি অবস্থান তৈরি করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি ঘোষণা দেন, আর তিনি শোবিজে থাকছেন না। এবার জানা গেল তার সেই সিদ্ধান্তের পেছনের বাস্তব কারণ।
নেহা জানান, শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় তাকে নায়িকা হিসেবে নেওয়া হয়। কিন্তু এক পত্রিকায় তার কাজের খবর প্রকাশ হওয়ায় তাকে কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়। অথচ তার প্রতি কোনো পূর্বশর্ত দেওয়া হয়নি, এমনকি কাজ গোপন রাখার কথাও বলেনি টিম। “কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা ছাড়া একজন শিল্পীর ওপর এভাবে রাগ ঝাড়া অমানবিক,” বলেন নেহা।
আরও বলেন, “যে সময়টা আমি সিনেমার জন্য বরাদ্দ করেছি, সে সময় আমার বাবা গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। ক্যানসার আক্রান্ত বাবাকে নিয়ে মুম্বাই যাওয়ার কথা ছিল চিকিৎসার জন্য। কিন্তু আমি সেই পরিকল্পনা বাতিল করে সিনেমার কাজকে প্রাধান্য দিই। ভেবেছিলাম দায়িত্বের জায়গা থেকে সবার শ্রদ্ধা পাব। কিন্তু তার বদলে যা পেলাম তা শুধু হতাশাজনকই নয়, অপমানজনকও।”
তাকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না বলেও অভিযোগ নেহার। “আমি তো চুক্তিপত্রেও সই করিনি তখনো। কারণ ঈদের পরেই আমাদের সাইন করার কথা ছিল। সবকিছু এত তাড়াহুড়ো করে করা হচ্ছিল যে সময়ই মেলেনি। অথচ আমাকেই দোষারোপ করা হলো।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি নিজেকে নিঃস্ব, ক্ষুব্ধ ও হেয় মনে করছেন। তাই এমন পরিস্থিতি থেকে নিজেকে মুক্ত করতেই ইন্ডাস্ট্রির বিদায় জানান তিনি। যদিও অনেকেই মনে করছেন, প্রতিভাবান এই অভিনেত্রী হয়তো আবারো ফিরবেন নিজ যোগ্যতায়, কিন্তু আপাতত তিনি নিজের পরিবার ও মানসিক শান্তিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
তার ভাষায়, “সম্মান না পেলে প্রতিভা দিয়ে কিছু করা যায় না। আমি চাই শিল্পীদের সঙ্গে যেন এমন ব্যবহার না করা হয়। তাদের যেন মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়।”