বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের পতনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। ‘দেশের মুক্তিকামী জনতা মাফিয়াদের পতনের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। এ কারণে জন বিচ্ছিন্ন ভোটারবিহীন ব্যর্থ সরকার অস্থির বেপরোয়া উঠেছে। একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের অন্তিম সময়ে বিষাদের সুর বাজছে এখন।’
শনিবার (২৪ জুন) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময়ের মতো একই কায়দায় বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও গায়েবি মামলা বিস্ময়করভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘পাইকারি হারে সারাদেশে গণগ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘুম কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তারা কেউ বাড়িতে অবস্থান করতে পারছেন না।’
সরকারের বিরুদ্ধে যারা সমালোচনা করছেন তাদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজারবাগ—বেইলিরোড—গণভবনকে কাশিমবাজার কুঠিতে পরিণত করা হয়েছে। আমরা খবর পাচ্ছি, প্রতিদিন সেখানে বিরোধী দল-মত নিশ্চিহ্ন করে ভোট ডাকাতি সফল করার কলাকৌশল নিয়ে বৈঠক চলছে। পুলিশ ও প্রশাসনে রাজনৈতিক রদবদল চলছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার পরিবার নিয়ে সুইজারল্যান্ড সফরের পরপরই দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলোতে খবর বেরিয়েছে— সুইস ব্যাংকগুলোতে রাখা বাংলাদেশিদের সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। এই টাকাগুলো এক বছরে কারা সরিয়েছে? এটি একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে মানুষের মনে।’
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, ‘গত ১৯ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত বিএনপির জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মোট ২১০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৩০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে। এসব মামলায় ৯ হাজার তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’