জুলাই বিপ্লব ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়ার লক্ষ্য নাহিদের

জুলাই বিপ্লব ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়ার লক্ষ্য নাহিদের

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর সূচনায় এক ব্যতিক্রমী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈশাখী আয়োজন। ইস্কাটন রোডে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠান ছিল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চেতনার এক সম্মিলন, যেখানে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও সামাজিক ন্যায়ের প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য রাখেন।

নাহিদ বলেন, “এবার প্রথমবারের মতো হাসিনামুক্ত, ফ্যাসিস্টমুক্ত বৈশাখ উদযাপন করতে পারছি। আমরা চাই এই নববর্ষ কেবল সংস্কৃতির উৎসব না থেকে জাতীয় নতুন পথচলার উৎসবে রূপ নিক।”

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ ছিল জুলাই বিপ্লব। কিন্তু আফসোসের সঙ্গে তিনি বলেন, “আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে অনেকেই যথাযথভাবে ধারণ করছে না। অথচ শুরু থেকেই আমরা বলে আসছি—এটি ছিল ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, বরং রাষ্ট্র কাঠামোর আমূল পরিবর্তনের সংগ্রাম।”

নাহিদ স্পষ্ট করে বলেন, “গণঅভ্যুত্থান কেবল দল বা ক্ষমতাসীন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং তা রাষ্ট্রের অন্যায় কাঠামোর বিরুদ্ধে, যেখানে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিচারহীনতা, বৈষম্য ও অবিচারের শিকার হয়ে আসছে।”

এই প্রেক্ষাপটে নাহিদ ইসলাম একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনের পক্ষে দলীয় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “এনসিপি সেই রাষ্ট্রকাঠামো চায় যেখানে প্রতিটি নাগরিক বিচার, মর্যাদা ও ন্যায়সঙ্গত সুযোগ পাবে। আমরা রূপকল্পে নয়, বাস্তবতায় বিশ্বাস করি।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতারা। বৈশাখী পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে রাজনৈতিক বক্তব্যে উঠে আসে একটি স্পষ্ট বার্তা—দেশ এখন দ্বিধার নয়, সিদ্ধান্তের মোড়েই দাঁড়িয়ে। এবং এই সিদ্ধান্তটি হতে হবে জনগণের পক্ষে, ইনসাফের পক্ষে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ