মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে ২৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

ডায়েরি-ক্যালেন্ডার তৈরির নামে ২৮ লাখের বেশি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ কাজের জন্য দায়িত্বে থাকা কয়েকজন শিক্ষক ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ডায়েরি এবং ক্যালেন্ডার তৈরির জন্য ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দরপত্র যাচাই বাছাইয়ের পর সর্বনিম্ন এবং শর্ত পূরণকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও এই নিয়মের তোয়াক্কা না করে দরপত্র পরিচালনায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাদের পরিচিত এবং কমিশনপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রের জন্য নির্বাচিত করেন।

বলা হয়েছে, দরপত্র আবেদনকারী অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠান সব শর্ত পূরণ করার পরও চারটি কোম্পানিকে বাতিল করে ৫ম সারিতে দরপত্র আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়। ক্যালেন্ডারের দরদাতাদের মধ্যে ৪র্থ স্থানে থাকা মাস্টার সিমিক্স পেপারের কার্যাদেশ ২৯ হাজার কপি ক্যালেন্ডারের মূল্য ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৪৭০ টাকায় দরপত্র নির্ধারণ করা হয়েছিল। দরপত্র অনুযায়ী ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি না করে জালিয়াতির মাধ্যমে ৪৩ লাখের বেশি টাকার নতুন ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করা হয়। যেখানে ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৪৭০ টাকার বিপরীতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে অতিরিক্ত প্রায় ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

অন্যদিকে ডায়েরির দরদাতাদের মধ্যে ৫ম স্থানে থাকা ট্রাস্ট কালার প্রিন্ট এন্ড এক্সোসরিসকে ৩২ হাজার ২০০ পিছ ডায়েরির মূল্য ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬০০ টাকায় দরপত্র নির্ধারণ করা হয়েছিল। দরপত্র অনুযায়ী কার্যাদেশ তৈরি না করে জালিয়াতির মাধ্যমে ৫১ লাখের বেশি টাকার নতুন কার্যাদেশ তৈরি করা হয়। এ জন্য ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬০০ টাকার পরিবর্তে অতিরিক্ত প্রায় ৮ লাখ টাকার বিল প্রদান করা হয়। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার জানুয়ারি মাসে পাওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো এখানো সরবারহ করা হয়নি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সাধারণ শিক্ষক ও অভিভাবকরা দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফৌজিয়া রাশেদী সোমবার রাতে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসার পর একজন সিনিয়র শিক্ষকের মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৮ কর্মদিবসের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ