বাইশ গজে নামা হয়নি, কিন্তু তার একটুখানি উপস্থিতিই যেন দলকে ছুঁয়ে দিলো নতুন করে। সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে মাত্র ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মোহামেডান ড্রেসিংরুমে হাজির তামিম ইকবাল। যেন ক্রিকেট তার দ্বিতীয় জীবন, আর মাঠ তার আরাধ্য ভূমি।
তামিমের জীবনের ২৪ মার্চ একটি কালো দিন হয়ে আসে। সকাল বেলায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন—তামিম হার্ট অ্যাটাক করেছেন। শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলাটা তো দূরের কথা, সে দিনই শুরু হয় এক নতুন যুদ্ধ—জীবনের যুদ্ধ।
রিং পরানোর পর কিছুটা স্থিতিশীল হলে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর কিছুটা সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে সিঙ্গাপুরে যান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে ফিরে এসেই সোজা চলে যান হোম অব ক্রিকেটে।
মোহামেডান দলের ফিল্ডিংয়ের সময় তামিমের ড্রেসিংরুমে প্রবেশ যেন পুরো দলের আবেগ ছুঁয়ে যায়। কোচিং স্টাফ, সাপোর্ট স্টাফ, রিজার্ভ ক্রিকেটাররা যেন পেয়েছেন এক উজ্জ্বল বার্তা—”আমি আছি, আবার ফিরবো, তোমাদের সাথেই থাকবো।”
তামিম এরপর চলে যান গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডে, যেখানে মোহামেডান ও বিসিবি কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। দলের একজন নেতা হিসেবে এই সামান্য উপস্থিতিও যথেষ্ট হয়ে ওঠে—মাঠে ফিরতে না পারলেও তামিম ছিলেন মাঠের আত্মায়।
এই ফিরে আসা শুধুমাত্র একটি ক্রিকেটীয় মুহূর্ত নয়। এটি এক মানবিক ফিরে আসা, এটি ক্রীড়ার চেয়ে বড় এক অনুপ্রেরণার প্রতীক। তামিম দেখালেন—খেলোয়াড় মানেই শুধু স্কোরকার্ড নয়, কখনো কখনো তারা হয়ে ওঠেন জীবনের সাহসিকতার গল্প।