পুনরায় ইসরাইলি হামলার মুখে পড়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির আশ্বাসের পরও মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। একদিনেই ৬০ জন নিহত হওয়ার খবরে বিশ্বজুড়ে আবারও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া পুনরায় হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯১ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪৩৪ জন আহত হয়েছেন। গত কয়েক মাসে যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে কিছুটা স্বস্তির বাতাস বইলেও, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ইসরাইল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে আবারও সহিংসতা শুরু করে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পুনঃআক্রমণ ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা ও নীরব সম্মতির প্রতিফলন।’ গাজার বিভিন্ন অংশে—বিশেষ করে দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস, রাফাহ ও জাবালিয়ায়—হামলায় শিশু ও নারীদের হতাহত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে।
এদিকে, গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ অনুপস্থিত। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, তবে বাস্তবতা বলছে, প্রতিদিন বাড়ছে মৃতের তালিকা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের সামরিক অভিযানে ধ্বংস হয়েছে গাজার অধিকাংশ হাসপাতাল, স্কুল, আবাসন ও সড়ক অবকাঠামো। এক সময়কার বসবাসযোগ্য গাজা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপ।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া গাজা পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়। যুদ্ধবিরতির বাস্তব প্রয়োগ, মানবিক সহায়তার পথ উন্মুক্ত করা এবং নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি শান্তির পথ বের করতে হবে—অন্যথায় গাজার মতো জায়গা পুরোপুরি মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র হয়ে থাকবে।