গ্রিস উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকাডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ আছে প্রায় ৫০০ মানুষ। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমন তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা।
সংস্থাটির মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স এক বিবৃতিতে জানান, নিখোঁজদের বড় অংশই নারী ও শিশু। নিখোঁজদের সন্ধানে সাগরে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
পৃথক আরেক বিবৃতিতে গ্রিস প্রশাসন জানিয়েছে, নৌকাডুবির প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে এ ঘটনায় ৯ মানব পাচারকারীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
বুধবার গভীর রাতে দেশটির ভূমধ্যসাগরীয় পেলোপনিস উপকূলের কাছে অভিবাসীদের বহনকারী নৌকা ডুবে যায়। নৌকাটি লিবিয়া থেকে ইতালি যাচ্ছিল। এতে প্রায় ৭৫০জন যাত্রী ছিলো। নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭৯ জন মারা গেছেন এবং শতাধিক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
ভয়াবহ এই নৌকাডুবিতে প্রাণহানির সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
গ্রিসের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের একটি বিমান মঙ্গলবার গভীর রাতে দক্ষিণ গ্রিসের উপকূলীয় শহর পাইলোসের প্রায় ৫০ মাইল (৮০ কিমি) দক্ষিণ-পশ্চিমে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজটিকে প্রথম দেখতে পায়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই জাহাজটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে গ্রিসের কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে উদ্ধার তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হয়। ছয়টি কোস্টগার্ড জাহাজ, একটি নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, একটি সামরিক যান ও একটি বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি জাহাজ নিখোঁজদের সন্ধানে এ অভিযানে অংশ নিয়েছে।