আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ও কুকুয়া ইউনিয়নে বনের দুটি হনুমান লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। উৎসুক জনতা হনুমান দুটিকে খাবার দিচ্ছে। হনুমানও খাবার খেয়ে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জানাগেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া গ্রামের রবিবার রাতে একটি হনুমান রাস্তায় হাটতে দেখে স্থানীয়রা। প্রথমতঃ দেখে মানুষজন ভয় পেলেও এখন আর ভয় পাচ্ছে না। বনের হনুমান লোকালয়ে মানুষের সাথে মিতালী গড়ে তুলেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। হনুমান দেখামাত্রই মানুষ এসে ভীর করছে। মানুষের দেয়া খাবার খেয়ে মনের আনন্দে হনুমান গাছে ও স্থলে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।
সোমবার দুপুরে কুকুয়া ইউনিয়নে আরেকটি হনুমান দেখতে পায় এলাকাবাসী। বন বিভাগ কতৃপক্ষ দাবী করছেন বনে পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ায় হনুমান খাবার সংগ্রহে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। তারা আরো দাবী করেন হনুমান লোকালয়ে প্রবেশ করায় আতঙ্কের কিছুই নেই। হনুমান কাউকে ক্ষতি করে না। ইচ্ছামত ওরা চলে যাবে।
পশ্চিম সোনখালী গ্রামের মোঃ সোহেল রানা বলেন, আমার ৪০ বছর বয়সে কোন দিন আমতলীতে হনুমানের আগমন দেখিনি। এখন বলেন হনুমান লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। খুবই ভালো লাগছে। মানুষ হনুমানকে খাবার দিচ্ছে।
কুকুয়া ইউপি সদস্য ফারুক সরদার বলেন, এলাকার বিভিন্ন গ্রামে হনুমান ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। মানুষজন হনুমানকে আদর করে খাবার দিচ্ছে। হনুমানও খাবার খেয়ে খুবই আনন্দে দিন কাটাচ্ছে।
কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, হনুমানকে লোকজন খাবার দিচ্ছে। হনুমানও মানুষের দেয়া খাবার খেয়ে আনন্দে লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুই দিনের মধ্যেই হনুমান মানুষের সাথে গভীর মিতালী গড়ে তুলেছে। তিনি আরো বলেন, হনুমানকে রক্ষায় বন বিভাগের লোকজনকে খবর দিয়েছি।
আমতলী বন বিভাগের বন কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল হক বলেন, খাবার সংঙ্কটে বনের হনুমান লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে ভয়ের কিছুই নেই। ও আবার ওর ইচ্ছামত বনে ফিরে যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কেউ যেন হনুমানকে আঘাত না করে। তিনি আরো বলেন, হনুমান রক্ষায় বন বিভাগের একজন লোক সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছে।