বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার হবে প্রমাণ পেলেই, ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার হবে প্রমাণ পেলেই, ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

ডিএমপি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংশ্লিষ্ট মামলায় আসামি গ্রেপ্তার সংক্রান্ত নতুন আদেশ দিয়েছে, যা আইনি প্রক্রিয়াকে আরও কঠোর, স্বচ্ছ এবং যাচাইকৃত করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শুধু এজাহারে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়; বরং ভিকটিম বা প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, ভিডিও/অডিও প্রমাণ বা কল রেকর্ডের মতো নির্দিষ্ট তথ্য থাকতে হবে।

এছাড়া গ্রেপ্তারের আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে, এমন শর্ত যুক্ত হওয়ায় মামলার তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আরো সংবেদনশীল ও সচেতন থাকতে হবে। আদেশ অনুযায়ী, এই নিয়ম এজাহারনামীয় ও তদন্তে শনাক্ত দুই ধরণের আসামির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

এই পদক্ষেপকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। কারণ সম্প্রতি কিছু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে একাধিক গ্রেপ্তার, হয়রানি এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ উঠে এসেছে। অনেক সময় অভিযোগের ভিত্তি দুর্বল হওয়ায় মামলা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়ছে, আবার অনেক নিরপরাধ ব্যক্তি আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত কয়েক মাসে ডিএমপি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী দাবিতে অনুষ্ঠিত কর্মসূচির পটভূমিতে অন্তত ১২টির মতো মামলা হয়েছে, যেখানে শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অনেক সময় এসব মামলায় অংশগ্রহণকারী সকলকেই একইভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে, ফলে তদন্ত জটিল হয়েছে।

নতুন এই নির্দেশনা অনুসরণে মামলা পরিচালনা এবং গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নিতে পুলিশের তদন্ত সংস্থা ও প্রশাসনের মধ্যে আরও সমন্বয় প্রয়োজন হবে। এতে রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা থাকা মামলাগুলোর ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার বা অন্যায্য গ্রেপ্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই নির্দেশ শুধু আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নই নয়, বরং গণতান্ত্রিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও পুলিশি কর্তৃত্বের সীমারেখা নিয়েও এক নতুন আলোচনা উস্কে দিচ্ছে—যা ভবিষ্যতের আন্দোলন ও রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ