পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দের জন্য দুর্নীতির অভিযোগে দুদক কর্তৃক আবেদন করার পর, আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এটি বৃহত্তম দুর্নীতি মামলার মধ্যে একটি, যা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে দুর্নীতির অন্ধকার দিককে প্রকাশ করেছে।
এই মামলাটি ২০০৭ সালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত কমিশনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম মামলা। অভিযোগ রয়েছে, যে সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় ছিলেন না, তখন তিনি তার পরিবারের সদস্যদের জন্য রাজউকের পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ করিয়েছিলেন। তবে এই প্লট বরাদ্দের প্রক্রিয়া অনেকাংশে দুর্নীতিপূর্ণ ছিল, যার মাধ্যমে অন্যান্য সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়।
আদালতের নির্দেশে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর, আগামী দিনে আরও তদন্ত চালিয়ে মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুদক। এই মামলায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অভিযুক্ত। গ্রেফতারি পরোয়ানার তালিকায় রয়েছে আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যারা পূর্বাচল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে জড়িত ছিলেন।
মামলার তদন্তের ফলাফল এখনো প্রাথমিক স্তরে, তবে গ্রেফতারি পরোয়ানার মাধ্যমে সরকার এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে বৃহত্তর আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে, যা দেশের দুর্নীতি ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
তবে, গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মামলা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, এই মামলার গতি দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।