দেশজুড়ে বাড়ছে পুলিশের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা। কখনো অপরাধীর পক্ষে জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হচ্ছে, আবার কখনো নিজেদের বিচার নিজেরাই করে নিতে চাইছে জনগণ। গত ৮ মাসে এমনই ৩০০-এর বেশি মব অ্যাটাকের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
সাম্প্রতিক একটি ঘটনা ঘটে রাজধানীর খিলক্ষেতে। ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে আটকে রাখে স্থানীয় জনতা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরকে গ্রেফতার করে আনতে চাইলে বিক্ষোভ শুরু হয়। এক পর্যায়ে ওসিসহ পুলিশের একটি দলকে বেধড়ক মারধর করা হয়, ছিনিয়ে নেওয়া হয় আসামিকে।
এছাড়াও তেজগাঁওয়ে মাদক কারবারি গ্রেফতারে গিয়েও ভয়াবহ হামলার শিকার হয় পুলিশ সদস্যরা। চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় তিনজনকে। এসব ঘটনায় পুলিশের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে—তারা বলছেন, প্রতিদিনই দায়িত্ব পালনের সময় হামলার শিকার হচ্ছেন তারা।
আইন ও অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের ‘সামাজিক বিচার’ বা ‘ভয়বিহীনতা’ কাজ করছে, যার ফলে তারা পুলিশের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে দ্বিধা করছে না। এতে শৃঙ্খলা রক্ষা কঠিন হয়ে পড়ছে।
অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাকারী বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়বে, যার চূড়ান্ত ফল ভোগ করবে সাধারণ মানুষ।”
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা বলেন, “সরকারকে এখনই শক্ত বার্তা দিতে হবে—আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
পুলিশ সদর দফতর ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কড়া নির্দেশনা জারি করেছে। এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, “যেকোনো হামলার তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া হবে। প্রয়োজনে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”