‘ইমাম মাহমুদের কাফেলার’ আরও ২০-২৫ সদস্য নিখোঁজ

সিটিটিসি সূত্রে জানা গেছে, হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হওয়া নতুন এই জঙ্গি সংগঠনটির আরও ২০-২৫ সদস্য নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে নামিদামি কলেজের শিক্ষার্থীও রয়েছে।

অভিযানে অংশ নেওয়া সিটিটিসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। আস্তানা থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও সংগঠনটির আরও ২০-২৫ জন সদস্য নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে নটরডেম কলেজের একজন শিক্ষার্থীও রয়েছে। গ্রেপ্তার ও নিখোঁজ সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে সাংগঠনিক নির্দেশে হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। নিখোঁজ সদস্যদের সন্ধানে সিটিটিসির অভিযান চলছে।

নতুন সংগঠনটির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এ সংগঠনটি অন্য সব জঙ্গি সংগঠন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই সংগঠনের সদস্যরা দাবি করে তারা কথিত ‘ইমাম মাহমুদের’ অনুসারী। তার নির্দেশে তারা গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিষ্ঠার জন্য ঘর ছেড়েছে। তারা গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিষ্ঠার জন্য (পাকিস্তান, ভারত,বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) যেকোনো ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনায় প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এদের অন্য কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সংগঠনের প্রধানকে গ্রেপ্তার করা গেলে এবং গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এসব তথ্য জানা যাবে।

এদিকে জঙ্গি আস্তানার অভিযান শেষে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল নতুন একটি উগ্রবাদী সংগঠন ব্যাপক সংখ্যক লোকদের উগ্রবাদের দীক্ষা দিয়েছে। আমরা জানতে পারি, মৌলভীবাজারের যেকোনো একটি পাহাড়ে তারা তাদের আস্তানাটি তৈরি করেছে। গতকাল আমরা চূড়ান্ত তথ্য পাই। ঢাকায় আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি, যিনি এই জঙ্গি আস্তানা থেকে তার পরিবারকে আনার জন্য গিয়েছিলেন।

সিটিটিসি প্রধান আরও বলেন, বিনা বল প্রয়োগে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাদের হেফাজতে নেওয়ার পরে আমরা জঙ্গি আস্তানায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩ কেজি বিস্ফোরক ও ৫০টির মতো ডেটোনেটর উদ্ধার করি। যা দিয়ে গ্রেনেডসহ হাই এক্সপ্লোসিভ তৈরি করা হয়। জঙ্গি আস্তানা থেকে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এছাড়া ৩টি শিশুও ছিল। এছাড়া ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা, প্রশিক্ষণ সামগ্রী, কমব্যাট বুট, বক্সিং ব্যাগ এবং কয়েক বস্তা জিহাদি বই জব্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এটি নতুন একটি সংগঠন, এর নাম ইমাম মাহমুদের কাফেলা। বাংলাদেশে যেসব নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আছে, সেগুলোর বাইরে এটি একটি নতুন সংগঠন। এই সংগঠনের যে মূল ব্যক্তি তার নামও আমরা পেয়েছি। আশা করি আমরা তার পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হবো।

//এমটিকে

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ