গাজা যুদ্ধবিরতির দাবিতে সম্মিলিত কণ্ঠে মুসলিম দেশ

গাজা যুদ্ধবিরতির দাবিতে সম্মিলিত কণ্ঠে মুসলিম দেশ

গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির জন্য এক কণ্ঠে আওয়াজ তুলেছে মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। তুরস্কের আন্তালিয়ায় অনুষ্ঠিত কূটনৈতিক বৈঠকে এই ঐক্যমত্য প্রকাশ পায়। সম্মেলনে ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন মুসলিম দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন।

এই সম্মেলনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক ছিল—ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে একটি সুসংগঠিত ও স্পষ্ট বার্তা। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ছিল তুরস্ক, সৌদি আরব, মিশর, কাতার, বাহরাইন, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া এবং স্বাগতিক ফিলিস্তিন। সকলেই ইসরায়েলি আগ্রাসনের অবসান এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সময়োচিত ও জরুরি বলে বিবেচনা করেন।

সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বলেন, “আমরা মানবিক সহায়তাকে রাজনৈতিক চাপে জিম্মি হতে দিতে পারি না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এখনই সক্রিয় হওয়া।” তিনি স্পষ্ট করে বলেন, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হলে ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ অব্যাহত থাকবে এবং সংকট আরও ঘনীভূত হবে।

সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমকেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়—

  • জাতিসংঘের গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে একটি অবিলম্বে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো হয়।

  • ফিলিস্তিনিদের যে কোনো প্রকার জোরপূর্বক বিতাড়নের বিরোধিতা করা হয়।

  • ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী UNRWA-কে অব্যাহত সমর্থনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

  • ইসরাইলি পক্ষের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনমূলক কার্যক্রম—যেমন বসতি সম্প্রসারণ, জমি দখল এবং বাড়ি ভাঙচুর—এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, মুসলিম দেশগুলোর এই সমন্বিত বার্তা ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি বড় ধাক্কা দিতে পারে এবং যুদ্ধবিরতির আলোচনা নতুন গতি পেতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ