যুদ্ধ বন্ধে অভিজাত বাহিনীর চিঠি: নেতানিয়াহুর হুমকি সত্ত্বেও নৈতিক অবস্থান

যুদ্ধ বন্ধে অভিজাত বাহিনীর চিঠি: নেতানিয়াহুর হুমকি সত্ত্বেও নৈতিক অবস্থান

গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের মাঝে এবার ইসরাইলি অভিজাত বাহিনীর একাংশ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তাদের দাবি—এই যুদ্ধ বন্ধ হোক এবং অবিলম্বে একটি বন্দি বিনিময় চুক্তি হোক।

১১ এপ্রিল শুক্রবার, ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধের নতুন ধারা শুরু হয় যখন দেশটির সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা যৌথভাবে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। এই সেনারা গোপন গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০, সায়েরেত মাতকাল, শায়েতেত ও শালদাগের মতো অত্যন্ত গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের সদস্য। পিটিশনে তারা বলেন, ‘গাজা যুদ্ধ শুধু মানবিক বিপর্যয় নয়, এটি আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে উঠেছে।’

আনাদুলুর তথ্য মতে, এই স্বাক্ষর-আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। কেবলমাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ছয়টি আলাদা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন কয়েক হাজার সামরিক সদস্য, একাডেমিশিয়ান, এবং সামরিক ডাক্তার। এদের মধ্যে আছেন সক্রিয় সৈন্য, রিজার্ভ সদস্য এবং প্রশিক্ষক-চিকিৎসকগণও।

ইসরাইলি সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই এই ধরণের প্রতিবাদ দমন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেন, “যেকোনো সক্রিয় সদস্য এই ধরণের চিঠিতে স্বাক্ষর করলে, তাকে বরখাস্ত করা হবে।”

এর আগে ১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির পর ১৮ মার্চ গাজায় ফের আক্রমণ শুরু করে ইসরাইল। প্রায় ছয় মাস ধরে চলা এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫১,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। পুরো উপত্যকাটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত, বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ইসরাইলি অভ্যন্তরে এমন নৈতিক প্রতিবাদ যুদ্ধ পরিস্থিতিকে নতুন মোড়ে নিয়ে যেতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ