মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে, আহত হয়েছেন ৩,৪০০ জনের বেশি, এবং নিখোঁজ রয়েছেন দুই শতাধিক। দেশটির সামরিক সরকার সোমবার (১ এপ্রিল) থেকে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে, যার অংশ হিসেবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
উদ্ধার অভিযান ও চ্যালেঞ্জ
গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার মিয়ানমারের মান্দালয় শহরে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী ও এক শিশু রয়েছে।
কিন্তু চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে উদ্ধারকাজে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলো। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অভিযোগ করছে যে, সামরিক বাহিনী ভূমিকম্পের পরও বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে, যা উদ্ধার কাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
আন্তর্জাতিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রম
জাতিসংঘ দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ২ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেছে এবং USAID-এর একটি উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারে পাঠাচ্ছে।
ভারত, চীন, রাশিয়া, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ একাধিক দেশ উদ্ধারকারী দল ও ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ত্রাণ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালানো যায়।
ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি
বিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (NUG) দাবি করেছে, নিহতের সংখ্যা ২,৪১৮ জনে পৌঁছেছে, যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন চীনা নাগরিকও রয়েছেন।
মিয়ানমারের সামরিক শাসক জেনারেল মিন অং হ্লাইং ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। উদ্ধার কার্যক্রম ও পুনর্বাসন পরিকল্পনার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।