প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনশেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৬২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। মিরপুরে প্রথম দিনে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগে ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিবীয়দের করা ৩৬১ রান এতদিন ছিল সবার ওপরে। শের-ই বাংলার মাঠে স্বাগতিকদের আগের সর্বোচ্চ ৮ উইকেটে ৩৩০ রান, ২০১০ সালে করেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৩৭৪ রান, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ সালের চট্টগ্রাম টেস্টে।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত-জয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় রানের ভিত পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। মুমিনুল থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। আর টেস্টে প্রথমবার দলকে নেতৃত্ব দেওয়া লিটনও নাম লিখিয়েছেন ব্যর্থদের দলে। ফলে তিনশোর আগেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে সফরকারীরা। তবে দিনের বাকিটা সময় মিরাজ-মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ব্যাটে নিরাপদে পার করে বাংলাদেশ।
টস হেরে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন জাকির হাসান। নিজাত মাসুদের লেন্থ ডেলিভারীতে ডিফেন্স করতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয়ে বল জমা পড়ে উইকেটকিপার আফসার জাজাইয়ের গ্লাভসে। তবে খালি চোখে আম্পায়ার ভেবেছিলেন বল হয়তোবা ব্যাটে লাগেনি। ফলে তিনি আউট দেননি। তবে আফগানিস্তান রিভিও নিলে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। সাজঘরে ফেরার আগে ২ বল খেলে ১ রান করেছেন এই তরুণ ওপেনার।
জাকির দ্রুত ফিরলেও পরিস্থিতি সামলে দ্রুতই উইকেটের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। এই তরুণ ওপেনারকে সঙ্গে নিয়ে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই টপ অর্ডার জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১১ ওভার ২ বলেই দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে দল।
তিনে নেমে এদিন আক্রমণাত্মক খেলেছেন শান্ত। এই টপ অর্ডার ব্যাটার ব্যাক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন মাত্র ৫৮ বলে। তার এমন ব্যাটিংয়ে ভর করেই ২১তম ওভারে দলীয় শতক স্পর্শ করে দল। দাপুটে ব্যাটিংয়ে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ১১৬ রান তোলে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।