অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনে করে এই সরকারের সময় দরকার তবে তা যেন মঈন, ফখরুদ্দিন-মঈন এর মত সময় না হয়। তিনি আরো বলেন,সংস্কার করুন কিন্তু এমন সংস্কারে হাত দিয়েন না যে সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত হবে। এমন সংস্কার করতে যাবেন না যার জন্য আবার একটি চক্র বাংলাদেশের এই গনতন্ত্র কে নৎসাত করার পরিকল্পনা করতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম এর আয়োজনে “ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সকল পর্যায় থেকে ফ্যাসিস্ট দোসরদের সমূলে উৎখাতের” দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।ফারুক বলেন, আমাদের দাবি স্পষ্ট আমরা নির্বাচন চাই। ১৬ বছর আওয়ামীলীগ দেশ শাসন করে গনতন্ত্র ধ্বংস করেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, কত মায়ের বুক খালি করেছে, আয়নাঘর তৈরি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দোসররা মন্ত্রানালয় সহ নানা জায়গায় এখনো কাজ করছে।
তারা কিভাবে এখনো একই জায়গায় থাকে ? সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এই অস্থিরতা করার সুযোগ দেওয়া যাবে না অবিলম্বে এদের পদায়ন বাতিল ও অপসারণ করাতে হবে। সাবেক এ চিফ হুইপ আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় দরকার তবে তা যেন মঈন, ফখরুদ্দিন-মঈন এর মত সময় না হয়। তিনি দ্রুত রোড ম্যাপ দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তি বাংলাদেশের মানুষ যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে ১৬ বছর আওয়ামী লীগের অত্যাচার সহ্য করেছে তাদের নির্বাচনমূখি করার কথা বলেন।
তিনি বলেন নির্বাচন ঘিরে আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে তা রুখে দিতে হবে। এসময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার ও বিএনপির ৪০ লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মঞ্জুর হোসেন ঈসা সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাগপার সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান,
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা নেসারুল হক, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এম এ হাশেম রাজু ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যারা ২০২৪’র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে লুটরাজতের সমর্থন জানিয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে থাকা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তাদেরকে অপসারণ করতে হবে।