জুলাই গণহত্যা: আইসিসিতে বিচার চেয়ে প্রস্তুতি সরকারের

জুলাই গণহত্যা: আইসিসিতে বিচার চেয়ে প্রস্তুতি সরকারের

বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম মর্মান্তিক অধ্যায়—জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে চালানো নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের বিচার আন্তর্জাতিক ফোরামে তোলার চিন্তা করছে বর্তমান সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, “হেগে অবস্থিত আইসিসিতে বিষয়টি পাঠানো হলে তা বিশ্বদরবারে তুলে ধরা সম্ভব হবে এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ ঠেকাতেও দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।”

জাতিসংঘের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল রাষ্ট্রীয় নির্দেশে সংঘটিত একটি পরিকল্পিত মানবতাবিরোধী অপরাধ। জাতিসংঘের বিশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০০ জনের বেশি নিহত ও শত শত মানুষ আহত হন ওই অভিযানে।

‘ডিলিট নয়, স্থায়ীভাবে নিশ্চিহ্ন করতে বলা হয়’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল জানিয়েছে, শুধু খুনের আদেশ নয়, প্রমাণ মুছে ফেলতেও ছিল বিশেষ নির্দেশনা। প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা জানান, “আমরা তদন্তে পেয়েছি—ডেটা যেন কোথাও না থাকে, এমন নির্দেশ ছিল। কিন্তু আমরা সেগুলো উদ্ধার করেছি, এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী আদালতে উপস্থাপনযোগ্য করেছি।”

আইসিসির পক্ষ থেকেও আগ্রহ

প্রাথমিকভাবে আইসিসির প্রসিকিউশন বিভাগ এই ঘটনার ওপর নজর রাখছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে তারা। বিষয়টি এখন কূটনৈতিক ও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে।

আইসিসি ১২৫টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল, যেখানে জেনোসাইড, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়। বাংলাদেশ এই আদালতের সদস্য রাষ্ট্র হওয়ায় বিচার চাওয়ার আইনি ভিত্তি রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ