যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, তবে তা মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি যথেষ্ট শক্তিশালী বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, সরকার ইতোমধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এবং আশা করা যাচ্ছে যে, এটি একটি ইতিবাচক সমাধান হবে।
রোববার (৬ এপ্রিল) ঈদের ছুটি শেষে সচিবালয়ে প্রথম কার্যদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপের কারণে কিছু প্রভাব পড়তে পারে, তবে এটি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। সরকার ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছে এবং আমরা আশা করছি যে, এটি আমাদের জন্য ভালো কিছু হবে।”
অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, রমজান এবং ঈদ উপলক্ষে সরকারের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে, যার ফলে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভালো দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ঈদে পণ্যের দাম কম ছিল, যা জনগণের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। ঈদ ভালোভাবে কাটতে সহায়তা করেছে।” তিনি আরো বলেন, আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যার ফলে কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক এবং ট্যারিফ কমানোর আলোচনা চলছে।
এছাড়া, পোশাক রপ্তানি খাতের জন্যও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, “সরকার এখন একক বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছে, যাতে আমাদের পোশাক রপ্তানি খাত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজারে আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।”
অর্থ উপদেষ্টা জানান, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের যেসব প্রভাব পড়বে, তা মোকাবিলা করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং সরকারের সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্য রয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলো নিয়ে সরকারের আত্মবিশ্বাস রয়েছে, এবং তারা আশা করছেন, অর্থনীতি ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যাবে এবং দেশ বিদেশি বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।