প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আব্দুস সামাদের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণসহ নানা অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ২৭ আগস্ট থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা।
টানা দশম দিনের মতো বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে অধিদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এদিন বিক্ষোভে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের বিভিন্ন স্লোগানে অধিদপ্তর উত্তাল হয়ে ওঠে। দুপুরে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন তারা। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো ধারণা না থাকা এ কর্মকর্তা বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ কারণে তাকে প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ হতে দ্রুত অপসারণ করে শিক্ষাবান্ধব ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে পদায়নের দাবি জানান তারা।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার দায়িত্বগ্রহণের পর ২০ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আসেন। সেদিন মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় মহাপরিচালক তার নির্বাচিত কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে গোপনে সব আয়োজন শেষ করেন। এছাড়া সভায় তিনি তার পছন্দের মাত্র ছয়জন ব্যক্তিকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেন। যাদের সবার কাছ থেকেই সভার দিন সকালবেলা বক্তব্যের স্ক্রিপ্ট জমা নেন।
সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সুপারিশে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান আব্দুস সামাদ। বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ ও পদলোভী কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তিনি তার মহাপরিচালক পদ ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।
এদিকে, বিক্ষোভ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্রধান সমন্বয়ক মো. আব্দুর রজ্জোক সিদ্দিকী। তিনি বলনে, আজকের মধ্যে ডিজিকে অপসারণ না করা হলে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ মাঠর্পযায়ের সব দপ্তরে (বিদ্যালয় ছাড়া) ব্যানার টানানো, ১ ঘণ্টা কর্মবিরতি ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি করা হবে।
বিক্ষোভ ও সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিচালক নাসিমা বেগম, উপ-পরিচালক আলেয়া ফেরদৌসী শিখা, আব্দুল আলীম, নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক এনামুল হক প্রমুখ।