যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে

সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন সবাই সরব। অপ্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত। কেউ সময় কাটাতে আবার কেউ প্রয়োজনের খাতিরে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যেমন- ফেসবুক, টুইটার, টিকটক, কিংবা ইনস্টাগ্রামে বিচরণ করেন।

নিজেদের জীবনযাপন, কাজকর্মসহ ট্রাভেল আপডেট ফ্রেন্ডস ও ফলোয়ারদেরকে জানাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত পোস্ট করেন কমবেশি সবাই। এটিই এখন সবার অভ্যাস ও শখে পরিণত হয়েছে।

২০২৩ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৪.৯ বিলিয়ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন। সেই হিসাব অনুযায়ী, গড়ে একজন মানুষ প্রতিদিন ১৪৫ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করেছেন।

যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক উপকারিতা আছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বন্ধু ও পরিজনদের সঙ্গে যুক্ত হতে ও যোগাযোগ রাখতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব অনেক।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কিছু অপকারিতাও আছে, যা সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে।

বিশেষ করে উদ্বেগ, বিষণ্নতা, একাকিত্ব ও সামগ্রিক সুস্থতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যা তরুণদের মধ্যে ব্যাপক হারে বাড়ছে। গবেষণা আরও বলছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে যারা অধিক সময় ব্যয় করেন তাদের মধ্যে দুঃখ, অসন্তোষ, হতাশা বা একাকিত্ব বাড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যা ভালো অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত। যখন আমরা কিছু পোস্ট করি, তখন সেখানে বেশি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার দেখলে ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যা আমাদেরকে খুশি করে তোলে।

তবে যখন কেউ তার পোস্টে কাঙ্খিত লাইক, কমেন্ট পান না তখন তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস কমতে শুরু করে ও কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যা দুশ্চিন্তার কারণ। এর থেকেই বাড়ে হতাশা ও উদ্বেগ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ