গ্রীষ্মকালে এসি ছাড়া গাড়িতে ভ্রমণ করা কষ্টকর। তাই গরমের কারণে গাড়িতে এসির ব্যবহার বাড়ছে। গাড়ির এসি চালু করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম যেটা মাথায় আসে তা হলো মাইলেজ। কারণ গাড়ির এসি ব্যবহার করলে মাইলেজ কমে যায়। কিন্তু, এমন পরিস্থিতিতে ব্যবহারকারীর মনে একটা প্রশ্নও জাগে যে, এসির ফ্যানের গতি বাড়ানো বা কমানো হলে গাড়ির মাইলেজে কোনও পার্থক্য করে কি না?
আসলে গাড়ির এসি সরাসরি ইঞ্জিনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ এসি ব্যবহার করতে হলে গাড়ি স্টার্ট করতে হবে। কিন্তু, এসির ফ্যানটি ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে, এসির ফ্যানের গতি বাড়ানো বা কমানো গাড়ির কর্মক্ষমতা বা জ্বালানিতে কোনও পার্থক্য করবে না। অর্থাৎ, কেউ যদি এসি চালু করে থাকে, তাহলে সর্বোচ্চ গতিতে গাড়ি চালিয়ে টেনশনমুক্ত থাকতে পারবেন।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ রয়েছে। আর তা হলো—
১) গাড়ি চালু করার সঙ্গে সঙ্গে এসি চালু করা যাবে না। প্রথমে দরজা বা জানালা খুলতে হবে এবং গরম বাতাস বের হতে দিতে হবে। এই কাজ করে নিলে, গাড়ির এসি চালিয়ে কেবিন ঠান্ডা করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
২) গাড়ির এসি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই রি-সার্কুলেশন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এই বাটন টিপে, গাড়িটি বাইরে থেকে বাতাস নেওয়া বন্ধ করে এবং কেবিনে উপস্থিত বাতাসকে ক্রমাগত ঠান্ডা করবে।
৩) রোদে গাড়ি পার্কিং এড়িয়ে চলতে হবে। সম্ভব হলে ছায়ায় গাড়ি পার্ক করতে হবে। এতে করে গাড়ি বেশি গরম হবে না এবং গাড়ির এসি চালিয়ে কেবিন ঠান্ডা করতে কম সময় লাগবে।