পশ্চিমবঙ্গে বিজয়া দশমীতে দেবী দূর্গার বিদায়ে সিঁদুর খেলা

উৎসব প্রিয় বাঙালির পার্বণ দুর্গাপূজা। এই পূজার পাঁচদিন মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং বিজয়া দশমী হিসেবে পরিচিত। দুর্গাপূজার এই পাঁচ দিনের শেষ বেলা দশমী মানেই উমার ঘরে ফেরার পালা। তবুও শেষ বেলায় উমাকে (দুর্গা) চোখের জলে, হাসিমুখে এক বুক আশা নিয়ে ঘরের মেয়েকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত বাঙালি, বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলীর নারীরা।

বিজয়া দশমী অর্থাৎ দুর্গাপূজার শেষ দিনে ঢাকের বাদ্য, উলুধ্বনি আর প্রতিমাকে বরণ করে নারীরা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। দেবী দুর্গার প্রতিমাকে সিঁদুরে বরণ করে একে অপরের সঙ্গে মেতে ওঠে বিজয়ার সিঁদুর খেলায়।বিজয়া দশমীর দিন বিবাহিত নারীরা আগে বরণ করেন দেবী দুর্গার প্রতিমাকে। সিঁদুর প্রথমে দেবী দুর্গার প্রতিমার সিঁথিতে ছুয়ে পরিয়ে দেন একে অন্যের সিঁথিতে। এরপর একে অপরকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। দেবী দুর্গার সিঁথি স্পর্শ করা সিঁদুরকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়।

দশমীর দিনে যে রীতির জন্য বাঙালি নারী অপেক্ষায় থাকে সেটা হলো- সিঁদুর খেলা। হিন্দু ধর্মে মনে করা হয়, স্মৃতিতে সিঁদুর পড়লে কপালে ব্রহ্মা অধিষ্ঠান করেন। অর্থাৎ একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেও মনে করা হয়। দেবী দুর্গাকে বরণ করতে এসে ঝুমা বর্মণ নামের এক নারী বলেন, চোখের জল থাকলেও হাসিমুখে ঘরের মেয়েকে বিদায় জানাতে বরণ করে নিচ্ছি। মায়ের কাছে প্রার্থনা ভুল-ত্রুটি হলে মার্জনা করো। আর পশ্চিমবঙ্গকে এই ভয়ানক পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করো।

দেবী দুর্গাকে বরণ করতে আসা শ্রীলেখা গুহ বলেন, আজ মায়ের কাছে চাইলাম মা সবাইকে ভালো রাখো, সুস্থ রাখো, একটা বছর যেন সবার ভালো কাটে এবং সবার শেষে মায়ের কাছে চাইলাম আর জি করের নারী চিকিৎসকের পরিবার দ্রুত বিচার যেন পায়। দিনের শেষে নাচে-গানে, হাসি মুখে সবাই বিদায় জানান দুর্গাকে। সকাল থেকেই সিঁধুর খেলা, বিসর্জন ও বিজয়া উৎসবের সূচনা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ