পাবনায় ভাঙ্গুড়ায় ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ২৪ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পুকুরপাড় মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- পুকুরপাড় গ্রামের বাসিন্দা ও বিএনপি কর্মী কালাম, আকরাম, সাদ্দাম, কালাম-২, গাজী, জব্বার, ঈমন, মমিন, ছাব্বির, শাহিন, হেলাল, তালেব, আলো প্রমানিক। এরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া আহত নিরজাপ, সাহাদত, ছানোয়ার হোসেনকে পাবনায় এবং আব্দুল মালেককে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া উপজেলার পুকুরপাড় এলাকার উদয়ন ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় বিএনপির অন্তত ১৮ জন হয়েছেন। আওয়ামী লীগেরও অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, পুকুরপাড় গ্রামে উদয় সংঘ নামে একটি সামাজিক সংগঠন রয়েছে। সংগঠনের সদস্য সংখ্যা শতাধিক। বেশ কিছুদিন ধরে এই সংগঠনের কার্যালয়ের চাবি সংগঠনের সভাপতি ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম ফকিরের কাছে ছিল। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির উপদেষ্টা ফয়জুল করিম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সানোয়ার হোসেন, আহম্মদ আলী, আব্দুর রাজ্জাক ও পুকুরপাড় আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আলী সালাম ফকিরের কাছ থেকে চাবি নিয়ে নিতে চান। চাবিটি ক্লাবের সদস্য হেলালের কাছে রয়েছে সালাম ফকির জানিয়ে দেন। পরে শনিবার সন্ধ্যায় হেলালকে ডেকে নিয়ে এসে চাবিটি আওয়ামী লীগ নেতার অনুসারীদের কাছে বুঝিয়ে দেন সালাম ফকির।
এরপরও আওয়ামী লীগ নেতা ফয়জুল, সানোয়ার, রাজ্জাক, রওশন ও আহম্মদ আলীর নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুস সালামসহ তার লোকজনের ওপর হামলা চালান। এতে উভয় দলের অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হন।
খানমরিচ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য জিন্নাহ আলী বলেন, শুনেছি ক্লাবের চাবি ও হিসাব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আহতদের দেখতে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, ওসি শফিকুল ইসলাম এবং সেনা সদস্যরা হাসপাতালে যান।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ক্লাবের চাবি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।