যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চান প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তা মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় পদোন্নতি দেওয়া হলেও তাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, পদোন্নতি নিয়ে নানা টালবাহানা করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
নিজেকে বঞ্চিত দাবি করা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুরুল আমিন বলেন, আমরা বিসিএস ১৩ থেকে ২২তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন বঞ্চিত উপসচিব। আমাদের সঙ্গে যারা উপসচিব হয়েছিলেন তারা অনেকেই যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। আমাদের পদোন্নতির যৌক্তিকতা বুঝিয়েছি তারাও রাজি হয়েছেন। তিনি বলেন, সব প্রস্তুত থাকলেও এসএসবি সভা ডাকা নিয়ে টালবাহানা করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অর্থ বিভাগের উপসচিব জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব স্যারের কাছে গেছি, তাকে সবকিছু বলেছি। উনি তখন বললেন, এসএসবির সভাপতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব। যদি তারিখ দেন তবে আমি সেদিন মিটিং আয়োজন করবো।
তিনি বলেন, এরপর আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে যাই। তিনি বলেন- জনপ্রশাসন সচিব সময় চাইলেই আমি সময় দেবো। আমরা এটা যখন আজ আবার জনপ্রশাসন সচিবকে বললাম, তিনি বললেন তোমরা তো সিস্টেমই জানো না। আমরা আবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এটা বললে তিনি বলেন, যে আমি যেটা বলেছি সেটাইতো নিয়ম। আমিতো জানি না উনি রেডি কি না, উনি সময় চাইলেই আমি সময় দেবো। আমরা এভাবেই ইনি এবং উনির মধ্যে আছি।
উপসচিব জাহিদ হোসেন আরও বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্যার আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন যে, তোমাদের বিষয়গুলো নিয়ে আবার জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে কথা বলবো। তাকে বুঝিয়ে বলবো। আমি রেডি আছি সময় দেওয়ার জন্য, উনি সময় চাইলেই দেবো।