জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক মহাসচিব ও পটুয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো. ওসমান গনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পরিবারের জিরো পয়েন্ট এলাকায় আমার বাড়ির মোট জমি থেকে এক ভাগ চার শতাংশ জমি কেনেন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। কিন্তু আমাদের সব জমির ওপর তার নজর পরে। পরবর্তীতে তিনি আমাদের জমি কিনতে চান। তাতে আমরা অসম্মতি জানাই। যে কারণে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে, মামলা দিয়ে আমাদের জেলে পাঠিয়ে ২৮ শতাংশ সম্পত্তি থেকে ২৩ শতাংশ জমি জবর দখলে নেন। আমরা শতবার চেষ্টা করেও জমি উদ্ধার করতে পারি নাই।
ভুক্তভোগী মো. ওসমান গনি আরও বলেন, আমরা জমি উদ্ধারের চেষ্টা করলে বিবাদী বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে আমাদের হয়রানি করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর তার কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। জমি উদ্ধারে আমাদের মামলা বর্তমানে আদালতে চলমান। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমাদের পাওনাটুকু ফিরিয়ে দেওয়ার।
অভিযোগ অস্বীকার করে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ওসমান গনীসহ ওই একই স্থানের মোট ২২ শতাংশ জমি আমি ক্রয় করি। জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সব পদ্ধতি অবলম্বন করে বায়না রেজিস্ট্রি করে তাদের বিভাগীয় কমিশনারের কাছ থেকে বিক্রি অনুমতিপত্র (পারমিশন) আনতে বলি। কিন্তু তারা সেই পারমিশন আনতে না পারার কারণে সাব কবলা দলীল দিতে পারেনি। তারা যখনই পারমিশন এনে দলিল দিতে পারবে তখনই আমি বাকি টাকা পরিশোধ করে দেবো। এছাড়া তারা যে ষড়যন্ত্র এবং জবরদস্তির কথা বলেছে এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।