অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্র শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।
তিনি বলেন, তাদেরকে অশান্তিতে রাখার আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি। ইউনূস সরকারকে এখনি রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে। এখনো শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বসে আছেন উল্লেখ করে ফারুক বলেন, বিএনপি অফিস ভাঙার নায়ক মেহেদী, হারুন, বিপ্লবরা কোথায়? রাজধানীতে অনেক অসৎ পুলিশ কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে আছেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানাব এদেরকে যদি আইনের আওতায় না নিয়ে আসেন মানুষ হতাশ হবে।
‘৫ আগস্টের পরে আমরা দেখতে পাচ্ছি কেউ কেউ যেন একটা কিছু ঘটানোর ষড়যন্ত্র করছে, যাদের নির্দেশে শত শত নিরীহ ছাত্রদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেই খুনের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে কেন কীভাবে ক্ষমা করা হয় রাজনৈতিকভাবে আমি বুঝে উঠতে পারছি না।’
শেখ হাসিনার ক্ষমা নেই মন্তব্য করে ফারুক বলেন, খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা শেখ হাসিনার নির্দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুলি চালিয়েছে, তাদের মধ্যে যারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে, তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে ছাত্র সমাজের যারা আত্মাহুতি দিয়েছে শান্তি পাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন আমি চুরি করে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। আমি মৃত ব্যক্তির ভোটে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। আমি বাংলাদেশে এক মাথা এক ভোটে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে যেতে চাই।
সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আলমগীর হোসেন, ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান প্রমুখ।