দিল মনোয়ারা মনুর ‘কবিতা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ গ্রন্থে মোড়ক উম্মোচন

মনু আপা কচিকাঁচার মেলার সঙ্গে জড়িত হয়েছিলেন। তিন খুব প্রাণবন্ত ছিল। সবাইকে একত্রিত রাখার নেতৃত্বের গুণ ছিলো অসাধারণ। তার লেখাতেই নারী অধিকার, বৈষম্যের কথা উঠে এসেছে। এমনকি তার জীবনের প্রতিটি কাজেই এই বিষয়টি উঠে আসতো। এককথায় মনু ছিলো একজন মানবদরদী, এক্টিভিষ্ট। সর্বদা কর্তব্য পালনে তার কোন ক্রটি ছিল না, একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ ছিলেন। তরুণ বয়সে লেখা হলেও লেখাগুলোতে ছিলো গভীর চিন্তা, দর্শনের প্রতিফলন। বিভিন্ন প্রথিতযশা ব্যক্তি, লেখক, কবিদের আদর্শ ও দর্শনের কথা তিনি তরুণ প্রজন্মদের সামনে তুলে ধরেছেন।

বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক, নারী অধিকার কর্মী দিল মনোয়ারা মনু’র ‘কবিতা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ গ্রন্থে মোড়ক উম্মোচন ও আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন। শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ৩ টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ওয়াইডব্লিউসিএ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কবি, কথাসাহিত্যিক কাজী মদিনা। এ সময় আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান। আলোচনায় অংশ নেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও কচি-কাঁচার মেলার সভাপতি অধ্যাপক ড. রওশন আরা ফিরোজ, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু এবং এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।

স্বাগত বক্তব্যে শামসুল হুদা বলেন, যে বইটি প্রকাশিত হয়েছে সেই লেখাগুলো ৪৫-৪৬ বছর আগের। ৮০-৮১ সালে লেখাগুলো বিভিন্ন পত্রিকার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এই বইটা প্রকাশ করতে গিয়ে আমি চমৎকৃত হয়েছি। তার লেখনির মধ্যে দিয়ে আদর্শ ও লক্ষ্য চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। লেখনির মধ্যে দিয়েই তিনি স্পষ্ট করেছেন কোন পথে যেতে হবে। এটাই তার মুন্সিয়ানা।

অধ্যাপক ড. রওশন আরা ফিরোজ বলেন, স্বামী সবাই হয়। কিন্তু জীবনের চলার পথের সারথী সবাই হতে পারে না, প্রেরণার উৎস হতে পারে না। আমরা দেখি, স্ত্রীরা স্বামীর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য অনেক কিছুই করে। কিন্ত এক্ষেত্রে দেখেছি হুদা ভাই উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। কবি সুফিয়া কামাল, মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকার মতো কবিদের চিন্তা তার কর্ম দেশ ও রাজনৈতিক, সমাজিক সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য তিনি। মনুকে স্মরণ করি।

প্রখ্যাত লেখিকা, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, মনুকে যাতে আমরা ভুলে না যাই সেজন্য এ জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজন আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

কবি লেখক সোহরাব হাসান বলেন, মানুষ চলে যাবার পরেই তার মূল্যায়ন হয়। তাকে নিয়ে স্মারক গ্রন্থ হয়েছে। তা তাকে আমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ