ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রায় ২ মিনিটের আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ১৪টি বসত ঘর। ঘরের চাল উড়িয়ে গাছের উপর ঝুলিয়ে রেখেছে। চালের টিন বিভিন্ন এলাকায় উড়ে গেছে। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়া পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা পরিষদও।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর চৌরঙ্গির মোড় (মেড়াতুলি) গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে এ ঘূর্ণিঝড়।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ৩-৪ দিন ধরে সরাইলে দিনে রাতে থেমে থেমে কখনো আবার মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে তিতাস নদী থেকে শুরু হয় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। তবে সেটি আঘাত করে শুধু উপজেলার একটি গ্রামে। ২ মিনিটের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ১৪টি বসত ঘর। অনেকের ঘরের চাল উড়িয়ে দূরদূরান্তে ফেলে দিয়েছে।
তাণ্ডবের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইউএনও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মিটিংয়ে থাকায় এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঢাকা থাকায় আমি সেখানে পরিদর্শনে যাই। উনাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে টিন ও নগদ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
সরাইল