আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কথা পরিষ্কার, শেখ হাসিনার অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না।’
‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগসহ’ বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী-কুমিল্লা-মিরসরাই-চট্টগ্রাম রোডমার্চের প্রারম্ভিক সভায় কুমিল্লায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘এ সরকার উন্নয়নের নামে লুট করেছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মতো আইন করে কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ভোটের অধিকার হরণ করেছে। বিচার ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কেউ ভালো নেই, লুটেরা, ফ্যাসিবাদী সরকার অত্যাচার-নির্যাতন করে বুকের ওপর বসে আছে। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।’
খালেদা জিয়া চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে না দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘চিকিৎসক বললেও এ ফ্যাসিস্ট সরকার বিনা চিকিৎসায় তাকে হত্যা করতে চায়। কারণ খালেদা জিয়াকে হত্যা করলে তাদের রাস্তা পরিষ্কার।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘লন্ডনে বসে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, কোনো মানুষ এমন কথা বলতে পারে না। খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেতা নন, এশিয়ার প্রথম মুসলিম নেত্রী। তিনি এদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। মানুষের উপকার করেছেন। সে নেত্রীকে আজ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছেন। এসব আমরা মেনে নিতে পারি না।’
ফখরুল বলেন, ‘ভোট চুরি আর করতে দেওয়া হবে না। দাবি একটাই আমরা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে চাই। রোডমার্চের মধ্য দিয়ে সরকারকে জানিয়ে দিচ্ছি এখনও সময় আছে পদত্যাগ করেন, নয়তো জনগণ জানে কিভাবে ক্ষমতা থেকে নামাতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদত্যাগের এক দফা মেনে নিয়ে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এ দাবিতে দেশের ডান-বাম সব রাজনৈতিক দল এখন এক সারিতে।’
ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রাধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঞা, জয়নুল আবেদীন ফারুক, জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ কেন্দ্রীয় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর