ব্রিটেনে বসবাসরত ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা বাংলাদেশী সরকারি পরিষেবা গ্রহণে আইডির বৈধতা, নো ভিসা এবং পাসপোর্ট ইস্যু নিয়ে জটিলতা নিরসনসহ কয়েকটি দাবি পেশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে।
বিদেশে চিকিৎসার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি হামিদের লন্ডন সফরকালে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা “যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ইউনিট”-এর ব্যানারে ১৬ নভেম্বর লন্ডনের পার্কলেন হোটেলে প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবি সম্বলিত একটি আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করেন। দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে : বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারণ, বাংলাদেশী ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ড এবং বাংলাদেশে থাকা অর্থ- সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ বা তদারকির জন্য কাউকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেয়ার ক্ষমতা প্রদান।
যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ বাসসকে জানান, ব্রিটেনে বসবাসরত ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের সংখ্যা প্রায় এক মিলিয়ন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ব্রিটেন প্রবাসীরা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদনে আইডি হিসেবে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করে আসছেন। সাম্প্রতিকালে বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে শুধুমাত্র বৈধ বাংলাদেশীদেরই বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। আর বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্টের অভাবে অনেকের মধ্যেই এখন সম্পত্তি হারানোর ভয় ও সঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
দাবিগুলো সম্পর্কে সংগঠনের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী জানান, এই জটিলতার কারণে একদিকে তারা বাংলাদেশে গিয়ে এনআইডির অভাবে সম্পত্তি হস্তান্তরের কাজ করতে পারছেন না, অপরদিকে বৈধ পাসপোর্টের অভাবে বিদেশ থেকে যেটুকু করা যেত সেটুকু এখন বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি সমস্যাগুলোর প্রতিকারের জন্য সরকারকে শীঘ্রই কার্যকার পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আহাদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী প্রমুখ।