সর্বশেষ ১১ ওয়ানডেতে একটি ম্যাচ জেতা দলকে ভালো বলার তো সুযোগ নেই। সঙ্গে দলটি হেরেছে টানা চারটি ওয়ানডে সিরিজে। নিজেদের ‘প্রিয়’ এই সংস্করণে সর্বশেষ কবে এমন খারাপ সময় গেছে বাংলাদেশের? পরিসংখ্যান কী বলছে?
পারফরম্যান্সের বিচারে বাংলাদেশের জন্য নিজেদের ইতিহাসের তলানিতে যাওয়া বেশ কঠিন। কারণ, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো বাংলাদেশের ওয়ানডেতে পরের জয় পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল প্রায় পাঁচ বছর।
২০০৪ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের আগে টানা ৪৭টি ম্যাচে বাংলাদেশ কোনো জয় পায়নি। হেরেছে এর ৪৫টিই। এর সঙ্গে টেস্টে জয়হীন থাকা ম্যাচের সংখ্যা যোগ করলে সংখ্যাটা হয় ৭৫, যা টানা না জেতার রেকর্ড। মানে ১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকে ২০০৪ সালের জিম্বাবুয়ে সিরিজের মধ্যে টানা ৭৫টি ম্যাচে জয়হীন থেকেছিল বাংলাদেশ।
স্বাভাবিকভাবে দেশের ক্রিকেটে কিছুটা হলেও এগিয়েছে। সেই সময়ের সঙ্গে এখনকার দলের তুলনা হবে না। এরপরও পারফরম্যান্সের বিচারে বর্তমানে ওয়ানডেতে বেশ বাজে সময়ই কাটাচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ, এর আগে বাংলাদেশ দল সর্বশেষ টানা ৪টি ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে ২০১১ সালে। সেবার অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ।
পরিসংখ্যানের বিচারে বাংলাদেশ ওয়ানডেতে নিজেদের সেরা সময় কাটিয়েছে ২০২১ ও ২০২২ সালে। ২০২১ সালের মে থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ টানা ৫টি ওয়ানডে সিরিজে জিতেছিল। ২০২২ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও বাংলাদেশ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ জেতে। সেবার টানা পাঁচ সিরিজ জয়ের ধারাবাহিকতা ভাঙে বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারে।
বাংলাদেশ সর্বশেষ ৮টি ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে জিতেছে একটিতে। সেটি ২০২৪ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই ৮ সিরিজের মধ্যে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষেই হেরেছে তিনটি সিরিজে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের কাছে দুইবার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে একবার সিরিজ হেরেছে। সব মিলিয়ে ওয়ানডে দলটি বেশ খারাপ সময়ের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে।