শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশে ডেটা পাঠালো স্পেসকয়েন

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশে ডেটা পাঠালো স্পেসকয়েন

মার্কিন স্যাটেলাইট স্টার্টআপ স্পেসকয়েন প্রথমবারের মতো মহাকাশে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নিরাপদ ডেটা আদানপ্রদানে সফল হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চায়, স্টারলিংকের বিকল্প হিসেবে নতুন ধরণের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব।

স্পেসকয়েনের লক্ষ্য হলো এমন গ্রাহককে ইন্টারনেট দেওয়া, যারা অস্থির, সেন্সর করা বা অত্যধিক ব্যয়বহুল সংযোগে ভুগছেন। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা তে ওহ বলেন, স্টারলিংকের মতো একক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে না রেখে স্পেসকয়েন বিকেন্দ্রীকৃত একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায়। এতে ব্যবহারকারীরা সরাসরি ডেটা সংরক্ষণ ও লেনদেন করতে পারবেন, অন্য কোনো সেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে যেতে হবে না।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, ব্লকচেইনভিত্তিক (নিরাপদ ডিজিটাল রেকর্ড প্রযুক্তি) ডেটা পৃথিবী থেকে মহাকাশে স্যাটেলাইট হয়ে আবার অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছে। এই ডেটা চিলি থেকে আজোরস পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করেছে। পরীক্ষায় সহযোগিতা করেছে বুলগেরিয়ার মাইক্রোস্যাটেলাইট নির্মাতা এন্ডুরোস্যাট।

স্পেসকয়েন জানায়, তাদের নেটওয়ার্কে প্রতিটি লেনদেন পূর্বের রেকর্ডের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। কোনো তথ্য বা অর্থ বদলানো, ভুয়া বা মাঝপথে আটকানো যাবে না। প্রতিষ্ঠানটি শুধু সাধারণ ব্যবহারকারী নয়, বরং ডেভেলপার, টেলিকম কোম্পানি, এনজিও ও অবকাঠামো খাতে কাজ করা অংশীদারদেরও টার্গেট করছে।

বর্তমানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বাজার দ্রুত বাড়ছে। যদিও জেপি মর্গান আগে স্যাটেলাইটের মধ্যে ব্লকচেইন পেমেন্ট পরীক্ষা করেছে। তবে স্পেসকয়েন প্রথমবারের মতো সরাসরি মহাকাশপথে এমন ডেটা লেনদেন সম্পন্ন করেছে।

তবে স্টারলিংকের তুলনায় স্পেসকয়েন এখনো ছোট খেলোয়াড়। স্টারলিংকের সক্রিয় স্যাটেলাইট সংখ্যা যেখানে প্রায় ৮ হাজার, সেখানে স্পেসকয়েনের আছে মাত্র একটি স্যাটেলাইট, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে স্পেসএক্স রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়। কোম্পানিটি চলতি বছর আরও তিনটি ন্যানোস্যাটেলাইট (ছোট আকারের স্যাটেলাইট, যা নিম্ন-কক্ষপথে ২ হাজার কিমি উচ্চতায় ঘোরে) পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

শেয়ার করুন