মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জবিতে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে জাতীয়তাবোধের রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জবিতে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে জাতীয়তাবোধের রূপান্তর' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আশিকুর রহমান (জবি প্রতিনিধি) :

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে জাতীয়তাবোধের ঐতিহাসিক রূপান্তর ও জিজ্ঞাসা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কবি-লেখক-পাঠক ফোরাম এই সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয়তাবোধের বিকাশ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের তুলনায় কিছুটা দেরিতে হলেও, প্রতিটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তা নতুন মাত্রা লাভ করেছে।

জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জাতীয়তাবোধের নতুন বিকাশ ঘটেছে, যার সর্বশেষ উদাহরণ কোটা সংস্কার আন্দোলন। তিনি বলেন, ‘চব্বিশের আন্দোলনকে অতি-ডানপন্থী হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও তা আন্দোলনের মূল চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এটি একাত্তরের ধারাবাহিকতা।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিটি অভ্যুত্থানের পর একটি গোষ্ঠী প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করলেও জনগণ সবসময় তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান হিমেল বলেন, ‘৪৭-এর মুসলিম জাতীয়তাবোধ থেকে শুরু করে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে। তবে গত ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন, গুম, খুন এবং ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ হিসেবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে।’

প্রধান অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. রইস উদ্দীন জাতীয়তাবোধকে ‘আত্মপরিচয়ের বোধ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানি শোষণের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবোধের ভিত্তিতেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, কিন্তু স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব সেই মুক্তিযুদ্ধকে কুক্ষিগত করেন। তিনি আরও বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবোধের উন্মেষের মাধ্যমেই ঘটেছে, কিন্তু কিছু গোষ্ঠী এই বিপ্লবকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে।

শেয়ার করুন