ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর সভাপতি স্বপন কুমার সাহা ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারির মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের নৃশংস হামলায় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আঘাত করেছে এবং দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাজিয়ে আবারও আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতির অঙ্গনে বিচরণের পায়তারা করছে। তিনি আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও সকল রাজনৈতিক দলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ইসকনের সাথে জড়িত চিন্ময় হিন্দু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে নাই। উল্লেখ থাকে যে, ইসকনের সঙ্গে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ধর্মীয়ভাবে মতবিরোধ আছে। এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় কৃষ্ণভক্ত ও বৈষ্ণবমতে তারা ধর্মীয় আচার আচরণ করে। ইসকন হিন্দু ধর্মের নীতিমালা অনুযায়ী শ্রী ভগবত গীতা অনুসরণ করে নাই। তাই আমরা সকল হিন্দু সম্প্রদায় ইসকনের এই ধরণের কার্যকলাপকে আমরা নিন্দা জানাই।
আমরা এই নৃশংস হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী)’র দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান, সর্বজনীন কল্যাণে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করুন।
মওলানা ভাসানী ১৯৬৪ সালে আইয়ুব খানের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলেন এবং তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আহ্বায়ক ছিলেন। ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে ১৯৩৪ সালে লাইন প্রথা আন্দোলনে আসামে ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শাসক ও শোষকের বিরুদ্ধে, আমরা শোষিত মানুষের পক্ষে মওলানা ভাসানী। মওলানা ভাসানীর আদর্শকে আমরা ধারণ ও অনুসরণ করি। মওলানা ভাসানী সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নেতা ছিলেন।