স্মার্টফোন সারাক্ষণের সঙ্গী। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা, শপিং করে বিল মেটানো থেকে শুরু করে বাস-ট্রেনের টিকিট কাটা, সিনেমা দেখা সবই সম্ভব এক স্মার্টফোনে। তাই তো বলা যায়, সঙ্গে স্মার্টফোন থাকলে আর কিছুই লাগে না।
তবে শুধু বড়দের নয়, ছোটদেরও স্মার্টফোন ব্যবহারে আসক্তি বেড়ে যাচ্ছে। করোনাকালীন অনলাইন ক্লাস, কোচিং কিংবা ব্যস্ত বাবা-মার সন্তানদের হাতে দেওয়ার কারণেই শিশুদের আসক্তি বেড়েছে। এখন এর থেকে সন্তানকে বেরও করতে পারছেন না।
তবে কয়েকটি উপায়ে আপনি আপনার সন্তানের স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে পারেন। দেখে নিন সেসব-
>>সন্তানদের জন্য স্ক্রিন টাইমের জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন সেট করা গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের বলুন, তাদের টিভি, ফোন হোক বা ট্যাব, স্ক্রিনে কোনো কিছু দেখার জন্য বরাদ্দ সময় মাত্র ১ ঘণ্টা। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের একটু কঠোর হতে হবে।
>> শিশুদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো তাদের খেলাধুলা, বই পড়া বা সৃজনশীল কাজে জড়িত রাখা। সন্তানকে পার্কে খেলতে নিয়ে যান। সাইকেল চালানোও শেখাতে পারেন। নাচ, সাঁতার, আউটডোর গেম বা অন্যান্য কার্যকলাপের মতো যে কোনো একটি ক্লাসে ভরতি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার সন্তান কী করতে ভালোবাসে, তার দিকেও খেয়াল রাখুন।
>> যখনই বাবা-মা সন্তানদের সঙ্গে থাকবেন, ফোনকে নিজেদের থেকে দূরে রাখুন। বাচ্চার সঙ্গে কথা বলুন, খেলুন, গল্প বলুন। এতে করে শিশুরাও নিজে থেকেই ফোন থেকে দূরে থাকবে।
>> বাচ্চাদের বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে দিন। খেলনা দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন এই খেলনাগুলো যেন তাদের বয়স অনুযায়ী হয়। শিশুরা তাদের বয়সের চেয়ে ছোট বা বড় খেলনা নিয়ে খেলতে পছন্দ করে না।
>> শিশুদের ছোট ছোট দায়িত্ব দিন। ঘরের কাজে ওদেরও নিজের সঙ্গী করুন। জন্মদিন, ফাংশন ইত্যাদিতে কিছু ছোট বিশেষ কাজ দিন। গাছে পানি দেওয়া, খেলনা গুছিয়ে রাখা, আলমারি পরিষ্কারে সাহায্য, ঘর সাজান। এমনই বিভিন্ন আপনার সঙ্গেই আপনার শিশুকেও কাজে লাগান। ভালোবেসেই দায়িত্ব নেবে ছোটরা।