আওয়ামী লীগ শিক্ষা নীতিমালার নামে জাতিকে ধ্বংসের নীতিমালা তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে শাহেদ মতিউর রহমান রচিত আওয়ামী লীগের ‘বিতর্কিত কারিকুলাম’ গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, তাদের শিক্ষানীতির শিক্ষা হচ্ছে ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিষ্টি বিতরণ করা। কোনো সভ্যযুগে, সভ্য দেশে এমন নিকৃষ্ট ঘৃণিত কাজ আর হতে পারে না। ইসলাম ব্যতিত অন্য কোনো সংস্কৃতিতে সুন্দর ও অত্যাধুনিক সংস্কৃতি নেই।ইসলামী আদর্শে সমাজ গঠন করতে পারলে সমাজে কোনো বৈষম্য, হানাহানি, মারামারি, রক্তপাত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি থাকবে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সমাজ গঠনে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করতো জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামী দলগুলো নারীদের নেতৃত্বের আসন দেয় না। অথচ আওয়ামী লীগের এক নারী নেতৃত্ব মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে দলের নারী কর্মীরা নিজেদের বিলিয়ে না দিলে কোনো পদ-পদবি দেওয়া হয় না। এ বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আদর্শ বলার অপেক্ষা রাখে না। যেই দলের কাছে দলের নারী নেত্রীরাই অসহায়, নিরাপদ নয়, সেই দলের কাছে জাতি নিরাপদ থাকতে পারে না।
আওয়ামী লীগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা চালিয়ে সেই প্রমাণ দিয়েছে। অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, শিক্ষার সংস্কার ব্যতিত কোনো সংস্কারই জাতির জন্য কল্যাণকর হবে না। তাই শিক্ষার সংস্কার করে ইসলামী আদর্শ শিক্ষানীতি তৈরি করতে হবে। ইসলামী আদর্শের শিক্ষানীতি ব্যতিত সোনার মানুষ তৈরি করা যাবে না।