‘মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ কর্মে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’ এই মূলসুরে শেরপুরের বারোমারী ফাতেমা রাণীর ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২৬তম তীর্থোৎসব। অনুষ্ঠান ঘিরে শেরপুরের গারো পাহাড়সহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। ধর্মীয় এই উৎসবে দেশ-বিদেশের অর্ধ লক্ষাধিক পুণ্যার্থী অংশ নেবেন। ১৯৯৮ সাল থেকে এই ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তীর্থযাত্রা।
ভারত সীমান্তঘেঁষা বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ও শুক্রবার (১ নভেম্বর) ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব হবে। এ উপলক্ষে তীর্থ স্থানটি সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। উৎসবকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারমারী সাধু লিওর। এ ধর্মপল্লীটি ১৯৯৮ সাল থেকে বার্ষিক তীর্থস্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব। শুধু শেরপুর নয়, দেশ-বিদেশের প্রায় লাখো পুণ্যার্থী অংশ নেন তীর্থযাত্রায়।
তীর্থ উৎসবের মূল আকর্ষণ আলোক শোভাযাত্রা। এছাড়া রয়েছে প্রার্থনা, নিশি জাগরণ, জীবন্ত ক্রুশের পথ, মহা-খ্রিষ্টযোগসহ নানা অনুষ্ঠান। এবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ঢাকা মহা-ধর্ম প্রদেশের সহকারী বিশপ সুপ্রত গমেজ।
বারোমারী মিশনের ফাদার তরুণ বানোয়ারী বলেন, ‘প্রার্থনা অনুপ্রেরণা, ফাতেমা রানীর মা মারিয়া’, ‘যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে, সে পরিবার একত্রে বাস করে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে এবং নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে।
শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ও নালিতাবাড়ী সার্কেল মো. দিদারুল ইসলাম জানান, তীর্থ উৎসবে ৩০০ পুলিশসহ জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।