ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, লেবাননে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় আরও ২১ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ অক্টোবর) এসব তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ৯২০ ছাড়িয়েছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি বাহিনী গাজাজুড়ে কমপক্ষে আরও ৫৩ জন ও লেবাননে ২১ জনকে হত্যা করেছে। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অন্তত ৪৬ জনের উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করছিলেন।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসক হুসেইন আল-হালাবি বলেছেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উত্তর গাজার আসমা স্কুল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আহত বিপুল সংখ্যক মানুষকে আল-আহলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাছাড়া ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এই স্কুলটি জাবালিয়া ও গাজা শহরের পশ্চিম এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত লোকেদের আশ্রয়স্থল ছিল।
চার সপ্তাহ ধরে উত্তর গাজায় ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিছু মেডিকেল সূত্র আল জাজিরাকে বলেছে, এই সময়ের মধ্যে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বর্তমানে গাজার আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা, গণগ্রেফতার ও অবরোধ আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল।
এদিকে, রোববার লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২১ জন নিহত হয়েছেন। মূলত গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চলছে।
পাল্টা আঘাত হানছে হিজবুল্লাহও। গত সপ্তাহে লেবাননে অভিযানরত ৭০ জন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি করেছে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। অবশ্য ঠিক কত দিনে এই সেনারা নিহত হয়েছেন, তা উল্লেখ করেনি হিজবুল্লাহ।
এর আগের সপ্তাহে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ৫৫ জন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি করা হয়েছিল। এছাড়া গত বছরের অক্টোবরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে।