একটা কথা প্রচলিত আছে, রিয়াল মাদ্রিদকে প্রথমে গোল দেওয়া সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। সেটা যদি হয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে, তাহলে তো বিপদ আরও বেশি। এমন ভুল করলেন তো, রিয়ালের কাছে ছাড়খাড় হওয়ার জন্য প্রস্তুত হোন।
যেমনটা হলো বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে রিয়ালকে ‘ভুল করে’ দুই গোল দিয়ে বসেছিল বরুসিয়া। সেই ভুলের মাশুল তারা দিলো ৫ গোল খেয়ে।
ম্যাচের এক ঘন্টা পর্যন্ত ২ গোলে পিছিয়ে থাকা রিয়াল দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জিতেছে ৫-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র করেছেন হ্যাটট্রিক।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩০ মিনিটে ডনিয়েল ম্যালেন এবং ৩৪ মিনিটে জেমি গিটেন্সের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। পিছিয়ে পড়ে রিয়াল একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না।
অবশেষে ৬০ মিনিটে এসে এক গোল শোধ করেন রুডিগার। এমবাপের ক্রসে হেড করে ব্যবধান কমান তিনি। এর মিনিট দুয়েক পরেই ভিনিসিয়াস ফেরান সমতা। শুরুতে রেফারি অফসাইড দেখিয়ে সেটা বাতিল করে দিলেও পরে ভিএআরে আসে গোলের সিদ্ধান্ত।
ম্যাচের তখন নির্ধারিত সময়ের ৭ মিনিট বাকি! কে জানতো, এরপর এতকিছু হবে? ৮৩ মিনিটে লুকাস ভাসকেজের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এরপর ‘ভিনি-ম্যাজিক’।
৮৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটা করেন ভিনিসিয়ুস, যোগ হওয়া সময়ের তৃতীয় মিনিটে পেয়ে যান হ্যাটট্রিকও। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি ভিনির তৃতীয় হ্যাটট্রিক, চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম।
ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের দুরন্ত পারফরম্যান্সে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৫-২ গোলের বিশাল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। একই রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্য ম্যাচে জুভেন্টাসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে স্টুর্টগার্ট, আর্সেনাল ১-০ গোলে জিতেছে শাখতার দোনেৎস্কের বিপক্ষে, পিএসজি ১-১ ড্র করেছে আইন্দহোফের সঙ্গে, বোলোনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা।