ভাষা আন্দোলনের নেতা অলি আহাদের মৃত্যুবার্ষিকী ২০ অক্টোবর রোববার

১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা, চির বিদ্রোহী, আপোষহীন জননেতা অলি আহাদের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ২০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. রোববার। অলি আহাদ ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ভারত বিভক্তির পূর্বে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রনেতা হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালে গঠিত ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, প্রগতিশীল যুব সংগঠন গণতান্ত্রিক যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বায়ান্নের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অন্যতম সাহসী নেতা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন- তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন সাধারণ সম্পাদক।
পরবর্তীতে অলি আহাদ জাতীয় লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি ছিলেন। অলি আহাদ ১৯৭১ সালের আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং এর প্রেক্ষাপট রচনায় শীর্ষস্থানীয় সংগঠক ছিলেন। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শেখ মুজিব-অলি আহাদ জুটি তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আওয়ামী লীগের গণভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বাধীনোত্তর সময়ে অলি আহাদ ৬ দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সহ বিভিন্ন বিরোধী দলীয় জোটে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ১৯৯৭ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গঠিত ৭ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন।
পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশে অভ্যূদয়ের পর মোট ১৭ বার অলি আহাদ গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করতে গিয়ে কারারুদ্ধ হয়েছেন। শুধু এরশাদ সরকারের আমলে তিনি ছয় বার কারারুদ্ধ হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী অধ্যাপিকা রাশিদা বেগম বাংলাদেশের শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন ও একমাত্র কন্যাসন্তান ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন। আপোষহীন সংগ্রামী জননেতা, ডেমোক্রেটি লীগের সাবেক সভাপতি অলি আহাদের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ বাড়িতে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে সকলকে যোগদানের তার কন্যা, সাবেক সংসদ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা অনুরোধ জানিয়েছেন।
এছাড়াও ২৬ অক্টোবর (২০২৪) শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ডেমোক্রেটিক লীগ-ডিএল এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ আলোচনা সভায় অলি আহাদের জীবিত রাজনৈতিক সহকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণকে যোগদানের জন্য ডেমোক্রেটি লীগ-ডিএল সভাপতি, অলি আহাদের দীর্ঘ ৪ দশকের রাজনৈতিক সহকর্মী, প্রবীণ সাংবাদিক নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস্ সাবেক নির্বাহী সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস অনুরোধ জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ