মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের (১৬) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে তার মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্তে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী নিহত হলেও জানাজানি হয় সোমবার রাতে। স্বর্ণা মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের পরেন্দ্র দাসের মেয়ে।
পরেন্দ্র দাস জানান, ভারতের ত্রিপুরায় তার বড় ছেলে থাকেন। তাকে দেখার জন্য ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্থানীয় দুই দালাল ধরে স্বর্ণা ও তার মা রোববার রাতে লালারচক সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে স্বর্ণা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। স্বর্ণার মাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মরদেহ ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল। পরে রাতে বিজিবির একটি দল বাড়িতে এসে জানায় স্বর্ণার মরদেহ বিএসএফ নিয়ে গেছে।
বিজিবির লালারচক বিওপির কমান্ডার নায়েক ওবায়েদ জানান, কয়েকজন বাংলাদেশি চোরাইপথে ভারতে যাওয়ার সময় বিএসএফ গুলি চালালে একজনের মৃত্যু হয়। বিজিবির শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল মিজানুর রহমান শিকদার জানান, খবর পেয়ে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। এরপর ভারতীয় পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে বিজিবি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে স্বর্ণার মরদেহ হস্তান্তর করে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারা স্বর্ণার মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।