জয়পুরহাটের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিস্ফোরকদ্রব্য আইন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিকসহ ৯২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া এতে আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জয়পুরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শরিফুল হক আজ ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) জয়পুরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসাইনের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন কালাই উপজেলার ঠাকুরপাড়া তালোড়া বাইগুনী গ্রামের তোতামিয়া প্রধান নামে এক ব্যক্তি। আদালতের বিচারক আবেদনটি এজাহার হিসেবে নথিভূক্ত করতে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে আদালতের আদেশের কাগজ আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত থানায় পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন কালাই থানার ওসি ওয়াসিম আল বারী। তিনি বলেন, আদালতের কাগজ এখনও থানায় আসেনি। আদেশের কাগজ পেলে মামলা রেকর্ড করাসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- কালাই উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারণ হওয়া চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন, কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী, পুনট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস ফকির, কালের কণ্ঠের জয়পুরহাটে কর্মরত জেলা প্রতিনিধি আলমগীর চৌধুরী, বেসরকারি টেলিভিশন নাগরিক টিভির জয়পুরহাটে কর্মরত জেলা প্রতিনিধি মাহফুজার রহমান প্রমুখ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট আনুমানিক সকাল ৯টায় কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও বিসমিল্লাহ হোটেলের সামনে প্রধান সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মারধর, হত্যাসহ জনসাধারণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে আসামিরা পরস্পর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও দেশে অরাজকতা বিধ্বংসী কাজের পরিকল্পনা করেন। তারা ককটেল, লোহার শাবল, শামুরাই, হাসুয়া, লাঠি, লোহার রড় পেট্রোল বোমা, কেরোসিন ও প্রাণহানীকর অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের হত্যার উদ্দেশ্য ঘেরাও করেন। এ সময় তারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেন। এতে বাদীর মুখসহ দুই হাত ও হাঁটু থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত এবং তোফেল উদ্দিন নামে একজনের হাটুর নিচ থেকে দুই পা পর্যন্ত ঝলসে যায়। জুলকার নামে আরেকজনকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে তার মুখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা ঝলসে দেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসামিরা পালিয়ে যান।