সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৫ই আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর তার সাথে ফোনে কথা বলায় গ্রেফতার হলেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির।
বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোর ৫.৪৫মিনিটে বরগুনায় তার নিজ বাসা আমতলা সড়ক থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান। তিনি জানান, বরগুনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির কে ঢাকা থেকে পুলিশের (পিবিআই) একটি টিম এসে তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি, জমি দখল, ঘুষ বাণিজ্য ও শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর বিশৃঙ্খলা এবং প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১২ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। ৩ মিনিটের ফোনআলাপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়। ফোনালাপে শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীর কবীরকে বলেন, আপনারা শৃঙ্খলা মেনে দলীয় কার্যক্রম চালাবেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে যথাযথভাবে পালন করবেন। জাহাঙ্গীর কবীর শেখ হাসিনাকে বলেন, আপা আপনি (ঘাবড়াবেন না) অর্থাৎ মনোবল হারাবেন না। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই। আমরা শক্ত আছি।
শেখ হাসিনা তারপ্রতি উত্তরে আরো বলেন, আমি ঘাবড়াবো কেন। আমি ভয় পাইনি। আপনারা দেখছেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে মেরে কিভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমাদের কর্মীদের মেরেছে।এ দেশটা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আপনারা যেভাবে আছেন ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালন করবেন।
সটঃ- বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ
এ কে এম মিজানুর রহমান, তিনি জানান, বরগুনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির কে ঢাকা থেকে পুলিশের (পিবিআই) একটি টিম এসে তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।চাঁদাবাজি, জমি দখল, ঘুষ বাণিজ্য ও শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর বিশৃঙ্খলা এবং প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাকে বরগুনা সদর থানায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
