গাজায় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘের কর্মী নিহত

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন যেন থামছেই না। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক ত্রাণ ও কর্মসংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) একটি গুদামে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সংস্থাটির এক কর্মীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

ইউএনআরডব্লিউএ তাদের এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে। মানবিক সংস্থার গুদামে কাজ করার সময় তিনি জাতিসংঘের জ্যাকেট পরেছিলেন। এরপরেও তিনি হামলার শিকার হন।

এদিকে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানিয়েছে, খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান হামলার কারণে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার পরিচালক ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজায় বেসামরিক লোকজনকে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য করা এবং সেখানে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে সেটা বন্ধ হওয়া উচিত।

বেশ কিছু মেডিকেল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোর থেকে হামলার ঘটনায় গাজায় ২৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও রয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ করে ইসরায়েল।

প্রায় ৯ মাস ধরে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে অভিযানের নামে প্রতিদিনই নিরীহ নারী, পুরুষ এবং শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৭ হাজার ৭০৫ জন।

এদিকে বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্রের বরাত দিয়ে তুরস্কের আনাদোলু নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। নিহতদের মধ্যে ৯ জনই একই পরিবারের। এর মধ্যে এক নারী এবং এক শিশুও রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ