বাজারে খোলা চিনির কেজি দেড়শ’!

সরকারের বাজার মনিটরিং প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, রাজধানীতে খোলা চিনি এক মাস আগেও ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। তবে গত বছরের জুনে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হয়েছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে।

এদিকে, প্যাকেটজাত চিনির দেখা মিলছে না বাজারে। খোলা চিনির দেখা মিললেও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। সরজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্যাকেটজাত চিনি না থাকায় খোলা চিনি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে, গত ১০ মে সরকার খোলা চিনির মূল্য ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

ক্রেতারা বলছেন, প্রতিনিয়ত বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এর মধ্যে চিনি সংকট দেখিয়ে বাজার অস্থির করে তুলছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর মহানগর প্রজেক্ট এলাকার মুদি দোকানি মো. বুলবুল বলেন, ‘দেশে যা ইচ্ছে তাই শুরু হয়েছে। কোম্পানিগুলো চিনি দেয় না আমাদেরকে। আমরা কী করব?’

তিনি বলেন, ‘আমরাই কিনতে পারি না সরকার নির্ধারিত দামে। ফলে আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এবং বিক্রিও করতে হচ্ছে।’

সেগুনবাগিচা এলাকার আলেয়া খন্দকার নামে এক বেসরকারি চাকরীজীবী বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীরা চিনি নিয়ে নীরবে নিভৃতে মানুষের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো লুটে নিচ্ছে টাকা। সরকারের নজরদারি আরও বাড়ানো জরুরি বলে আমি মনে করি।’

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘বাজারের অবস্থা খারপ সবাই জানেন। কিন্তু ভোক্তাদের কথা চিন্তা করে হলেও সরকার থেকে আরও ভালোভাবে বাজার মনিটরিং করা উচিৎ বলে মনে করি।’ তিনি বলেন, ‘চিনির সিন্ডিকেট আছে বলেই দাম কমেও কমেনি। কড়া নজরে আনতে হবে বাজার।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ