শ্যামলীর ২০ তলা ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর শ্যামলীতে ২০ তলা রূপায়ণ শেলফোর্ড ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টার পরে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম দোলন।

তিনি জানান, প্রায় ১৪টা ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে রাত ২টা ৮ মিনিটের দিকে। এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগুনের সূত্রপাত তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

এ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ দুর্ঘটনায় ভবনে আটকেপড়া ২৭ জনকে অক্ষত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।  

রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে আগুনের সময় ভবনে আটকেপড়া ২৭ থেকে ২৮ জনের মতো উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০ তলা ভবনটি পুরোটাই বাণিজ্যিক ভবন। এখানে সরকারি-বেসরকারি সহ অনেক প্রতিষ্ঠানের অফিস আছে।

তবে উদ্ধারের সংখ্যা ২৩ জন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম দোলন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাত ১১টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরও ৮টি ইউনিট যোগ দেয়।  

এদিকে আগু‌নের ঘটনায় আত‌ঙ্কিত হ‌য়ে এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন রোগী ও স্বজনেরা। দেখা যায়, একজন রোগী‌কে তার ছেলে ও স্ত্রী কোলে তুলে ৪ তলা থেকে নিচে নামান। তাড়াহু‌ড়ো করে নামা‌তে গি‌য়ে আহত হন স্ত্রী ও ছেলে।

ওই রোগীর নাম আলম মিয়া। তার স্ত্রী ব‌লেন, কয়েকদিন আগে এক ভবন থেকে ইট পড়ে পা ভাঙ্গে আল‌মের। অবস্থা দিনকে দিন খারাপের দিকে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এনে ভর্তি করা হয় শ্যামলীর ট্রমা সেন্টার ও হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা পরার্মশ দেন অপারেশন করতে। বুধবার ভাঙা পায়ের অপারেশন করা হয় আলমের। জ্ঞান ফেরার পর বৃহস্পতিবারই বেডে আনা হয়েছে তাকে। নামাতে গি‌য়ে আলম অপারেশন করা পা‌য়ে আঘাত পে‌য়ে‌ছেন।

আল‌মের স্ত্রী ব‌লেন, রাতে ভবনটিতে আগুন যখন দাউ দাউ করে জ্বলছিল, তখন আলমকে না‌মি‌য়ে রাস্তায় বসিয়ে রাখা হয়। হয়তো একেই বলে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। আমাদের মতো অসহায় এখন আর কেউ নেই! ত‌বে নি‌জের নাম প্রকাশ কর‌তে চান‌নি আল‌মের স্ত্রী।

আগু‌নের ঘটনায় আলমের মতো আরও রোগীকেই রাস্তায় নামা‌তে হ‌য়ে‌ছে। তাদের মধ্যে বয়স্ক রোগীও রয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের সর্বশেষ