প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী জাতীয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উপর আন্তর্জাতিক কোন চাপ নেই। যথা সময়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করবে কমিশন।
তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের মন্তব্যে নির্বাচন কমিশনের উপর কোন চাপ নেই, এটা সরকারের বিষয়। তারা সকল বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবে।’
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিইসি এসব কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কমিশন সাংবিধানিক নিয়মে নির্বাচন আয়োজন করবে,নির্বাচনে আসতে কোন দলকে বাধ্য করা হচ্ছে না, বরং আহবান জানানো হয়েছে। আমরা সকল দলের অংশ গ্রহণে একটি সুন্দর নির্বাচন চাই। বিরোধী দল হিসেবে (বিএনপি) একটি বড় দল, যদি তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে, তবে নির্বাচন আরও অংশগ্রহণমূলক হবে। আমরা আশাবাদী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, বর্তমান ইভিএম দিয়ে ৫০ থেকে ৬০টি আসনে ভোট গ্রহণ করা সম্ভব। সকল আসনে ইভিএম এ ভোট গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাবনা দিতে আমাদেরও একটু সময় লেগেছে। বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশন এটাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। এরপরও সব আসনে ইভিএমের জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করা সময়সাপেক্ষ বিষয়। তবে বাজেট পেলে চিন্তা ভাবনা করা হবে, একেবারে সম্ভব না হলে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবির, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস.এম আক্তারুজ্জামান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান, মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস, মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকীসহ জেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্থানীয় ভোটাররা উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিনের সরকারি সফরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আজ পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে অবস্থান করবেন। সফরের দ্বিতীয় দিনে পটুয়াখালী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সরকারি ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ ও কুয়াকাটা আঞ্চলিক নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন শেষে শুক্রবার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।