শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ইবির জিয়া হলের ফান্ডে গরমিল, দায় নিচ্ছেন না কেউ

ইবির জিয়া হলের ফান্ডে গরমিল, দায় নিচ্ছেন না কেউ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলে দীর্ঘ ১৬ বছরের ফান্ডের সঠিক হিসাব না মেলায় স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠেছে। নিয়মিত ভর্তি ও আবাসিক ফি আদায় হলেও লিখিত আয়-ব্যয়ের হিসাব দীর্ঘদিন জমা হয়নি। এক প্রভোস্ট দায়িত্ব ছাড়লেও পরের প্রভোস্ট খালি ফান্ড পেয়েছেন, ফলে এটি তুলনা করা হচ্ছে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র সঙ্গে।

বর্তমান প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজীর অভিযোগ, সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম. জাকির হোসেন দায়িত্বে থাকাকালে রেখে গেছেন প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার বকেয়া এবং ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকার অডিটবিহীন ব্যয়। এছাড়া ওয়াইফাই বিল ১ লাখ ১০ হাজার, আসবাবপত্র বাবদ ৪৬ হাজার টাকা পরিশোধ হয়নি।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ফি পরিশোধ করেও অন্যান্য হলের মতো রিডিং রুম, ডাইনিং, ওয়াশরুম সুবিধা পাচ্ছেন না তারা।

বর্তমান প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের ওয়াদা করেছি। সাবেক প্রভোস্টের কাছ থেকে অনেকদিন ধরে হিসাব চেয়েছি। কিন্তু গড়িমসি ও অনিয়মের কারণে ৪ মাস পরও কিছু বকেয়া এবং হিসাব পাওয়া গেছে। আমি লিখিত হিসাব ভিসি স্যারের কাছে জমা দেব।’

সাবেক প্রভোস্ট ড. শেখ এ.বি.এম. জাকির হোসেন দাবি করেছেন, ‘এক প্রভোস্ট অন্য প্রভোস্টের কাছ থেকে হিসাব চাইতে পারে না। সব ফাইল এবং নথি হল অফিসারের কাছে দেওয়া হয়েছে। যেকোনো অডিট মন্ত্রণালয় করতে পারে। ওয়াইফাই বা সিট বরাদ্দের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্যই আমি কাজ করেছি। দায়িত্ব এখন বর্তমান প্রভোস্টের।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় সবকিছু পরবর্তী প্রভোস্টকে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। জিয়া হলে এ ধরনের সম্পূর্ণ নথি আমরা পাইনি।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলছেন, ‘হিসাব চাইতে পারে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

শেয়ার করুন