তোফায়েল সজিব (বারহাট্টা, নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে কুরআন অবমাননার অভিযোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, চন্দ্রপুর গ্রামের নাজমা ও বেগম নামে দুই নারী এবং হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি কুরআন শরীফকে পদদলিত করেন। এ ঘটনায় তাওহীদি জনতা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। পরে তাওহীদি জনতার পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হলে প্রশাসন তিনজনকে গ্রেফতার করে। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদীপক্ষকে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করে বলে অভিযোগ ওঠে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও তাওহিদবাদী জনতার উদ্যোগে বৃহৎ আকারের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে রফিকুল ইসলাম মাদানি বলেন, “দোষীদের সঠিক বিচার না হলে আন্দোলনের দাবানল সারাদেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। আমরা ফ্যাসিবাদী আমল পার হয়ে এসেছি, ভয় দেখিয়ে আমাদের দমন করা যাবে না। প্রশাসনকে বলছি, যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করুন। নতুবা আজ ঘোষিত সাত দফা কর্মসূচি যেকোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করা হবে।”
এ সময় বক্তব্য রাখেন ফ্যাসিবাদ আমলে কারাবন্দি আলেম মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানি, মুফতি রেজওয়ান রফিকী, মুফতি আরিফ জব্বার কাসেমী, ইসলামি আন্দোলন মনোনীত সংসদ পদপ্রার্থী শাইখুল হাদিস মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, জেলা জমিয়ত সভাপতি মুফতি তাহের কাসেমী, জমিয়ত নেতা রুহুল আমীন নগরী, মাওলানা মাহমুদুল, মুফতি মাজহারুল হক কাসেমীসহ স্থানীয় আলেম ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং ইসলামবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সারাদেশে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।